অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ধারবাহিক বদলির অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব ইউএনও-কে বদলির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সন্মতি দিয়েছে ইসি। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকা ইউএনও এবং ছয় মাসের বেশি সময় ধরে থাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির জন্যে তাদের তালিকা কমিশনে পাঠাতে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এমন ইউএনও এবং ওসির পূর্ণাঙ্গ তথ্য ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে আসতে পারে। ছয় মাস থেকে এক বছর সময় বর্তমান কর্মস্থলে আছে— এমন সংখ্যার বিষয়ে যতদূর জানা গেছে, ২৭০ জন ইউএনও এবং ৩২০ জন ওসি থাকতে পারে। এখন ৪৭ জন ইউএনও’র তালিকা এসেছে। কমিশন তাদের বদলির বিয়ে সম্মতি দিয়েছে।
এ কর্মকর্তা জানান, চার নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যে তথ্য পেয়েছেন, সেটির ভিত্তিতেই থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান এরআগে বলেছেন, আইন ও বিধি মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের পরমর্শ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করছে। ভোটকে সামনে রেখে এক বছরের বেশি সময় ধরে বর্তমান কর্মস্থলে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অন্য জেলায় বা নিজ জেলায় অন্য নির্বাচনি এলাকায় বদলির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়কে প্রস্তাব পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরও বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। এ প্রস্তাব পর্যায়ক্রমে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠাতে হবে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যেকোনও কর্মকর্তা দায়িত্বে অবহেলা ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করলেই প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণিক আইনসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আহসান হাবিব জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে জিরো টলারেন্স নীতিতে অনড়। এছাড়া প্রার্থীরাও নির্বাচণি আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহসান হাবিব খানের মতে, আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে কমিশন। আমরা অবাধ-সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
Leave a Reply